জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবসৃষ্ট নানা কারণে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ পাঁচের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ১৫৫ একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। এ স্কোর অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি, যার স্কোর ২৬৭। দ্বিতীয় স্থানে আছে গণতান্ত্রিক কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা (১৭৪),  তৃতীয় অবস্থানে উগান্ডার কামপালা (১৬১)  চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা (১৫৫) এবং পঞ্চম অবস্থানে ভারতের কলকাতা (১৪৫)।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বিশ্বব্যাপী বায়ুমান পর্যবেক্ষণ করে থাকে। একিউআই সূচকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটা নির্মল বা দূষিত এবং তা মানুষের স্বাস্থ্যে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, সে তথ্য প্রকাশ করা হয়।

যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ

একিউআই সূচকে শূন্য থেকে ৫০ ভালো, ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি, ১০১ থেকে ১৫০ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১-এর বেশি স্কোর দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুদূষণ সব বয়সের মানুষের জন্যই ক্ষতিকর হলেও শিশু, প্রবীণ, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য এটি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় ৫টি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

২০১৯ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণসাইটের ধুলা।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) জানায়, বায়ুদূষণের কারণে স্ট্রোক, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ লাখ মানুষ বায়ুদূষণজনিত রোগে মৃত্যুবরণ করে।